Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
গণকবরঃGonokobor (Memorial Graveyards of Genocides in 1971 Liberation War):
স্থান

আদিত্যপুর, ভাটপাড়া গালিমপুর, বুরুঙ্গা বাজার এবং সুরিকুনা।(Adityopur, Bhatpara Galimpur, Burunga bazaar and Surikuna)

কিভাবে যাওয়া যায়

বালাগঞ্জ হেডকোয়ার্টার থেকে সড়ক পথে সব ক'টি গণকবরে যাতায়াতের ব্যবস্থা আছে। Road communications and transports are available for all the Memorial-Graveyards (Gonokobor) from Balaganj HQ.

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

গণকবরঃ

বালাগঞ্জে ০৪ টি ঐতিহাসিক গণকবর রয়েছে যা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি দখলদার বর্বর সেনাবাহিনী দ্বারা সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার সাক্ষী হয়ে আছে। ঐতিহাসিক এ স্থানসমুহে নিরস্ত্র নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে একত্রে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ-ফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল বর্বর পাকিস্তানি খান সেনারা। চরম মানবতাবিরোধী এ যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত করতে দূর্ভাগ্যজনকভাবে এদেশীয় কিছু রাজাকার, আল্‌বদর,  আল্‌-শামস্‌রা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা করেছিল, যারা যুগ যুগ ধরে এ দেশের মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে আছে।০৪টি গণকবরের মধ্যে একটি বালাগঞ্জ ইউনিয়নের আদিত্যপুরে অবস্থিত। এটি আদিত্যপুর গণকবর নামে পরিচিত এবং এখানে ৭২ জন নিরপরাধ হিন্দু পুরুষ মানুষকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় গণকবরটির অবস্থান বুরুঙ্গাবাজার ইউনিয়নের বুরুঙ্গাবাজারে এবং এর নাম বুরুঙ্গা গণকবর। এখানে একইভাবে হত্যা করা হয়েছিল ৭৮ জন হিন্দু পুরুষকে। তৃতীয় গণকবরটি পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গালিমপুরে অবস্থিত যা গালিমপুর গণকবর নামে পরিচিত। এখানে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়েছিল ৩৩ জনকে যাদের মধ্যে একজন মুসলিম ছাড়া বাকী সকলেই হিন্দু। এছাড়াও আরেকটি গণকবর রয়েছে সাদীপুর ইউনিয়নের সুরিকুনায় যেখানে ৩০ জনেরও বেশী হিন্দুকে একত্রে নৃশংসভাবে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাঙালি জাতি হিসাবে বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস রয়েছে। বিজাতীয় শাসকগোষ্ঠী বিশেষতঃ পাকিস্তানি শাসকদের দ্বারা বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার অধিকার, অর্থনীতি, শিক্ষা, চাকুরী, মজুরি এমনকি ভাষার অধিকার কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র এবং দূঃশাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির রুখে দাঁড়ানোর সুদীর্ঘ উজ্জ্বল ইতিহাস সর্বজনবিদিত। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীর ভাষা আন্দোলন তার অন্যতম একটি যেখানে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য পাকিস্তানি শাসকের লেলিয়ে দেয়া বাহিনীর বুলেটে ঢাকার রাস্তায় প্রাণ দিয়েছিল আন্দোলনরত রফিক, সালাম,বরকত,জব্বার সহ আরো অনেকে। মাতৃভাষা রক্ষার দাবীতে বাঙালির প্রাণ বিসর্জনের এ ঐতিহাসিক ঘটনার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিস্বরূপ বর্তমানে দিনটি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসাবে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের পর থেকে পাকিস্তানি নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রতিবাদ আরো বেগবান হতে থাকে এবং ধীরে ধীরে তা এ অঞ্চলের স্বায়ত্বশাসন তথা স্বাধিকারের দাবীতে রূপ নেয় যা বঞ্চিত বাঙালি জাতির প্রাণপুরুষ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বাধীনতার দাবীতে পরিণত হয়। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্টতায় বিজয়ী হলেও পাকিস্তানি শাসকেরা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে উল্‌টো ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালির উপর সামরিক হত্যাযজ্ঞ চালালে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির মেণ্ডেট্‌প্রাপ্ত অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন এবং পরক্ষণেই পাকিস্তানি হানাদার বাহীনির হাতে গ্রেফতার হন। শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। প্রায় ৯ মাস ব্যাপী গেরিলা যুদ্ধে অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিবাহীনি ভারতীয় সেনা সহায়তায় চুড়ান্ত বিজয় লাভ করে। পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয় একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, বাংলাদেশ। অবিস্মরণীয় এবং নির্ভুল নেতৃত্বের জন্য শেখ মুজিব বিশ্বের দরবারে প্রতিভাত হন এক জীবন্ত কিংবদন্তী রূপে। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে রয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহীনির নির্মম নিষ্ঠুরতম বর্বতার শিকার প্রায় ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষ নারীর সম্ভ্রম হারানোর দূঃসহ স্মৃতি। বর্বর এ হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী হয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এসব গণকবর।

 

Gonokobor (Memorial Graveyards of Genocides in 1971 Liberation War):

 

There are four Gonokobors (Memorial graveyards of genocide in 1971 liberation war) in Balaganj that stands historical evidences for the Genocides, brutal massive killings of un-armed common people who were not any-way guilty, criminally committed by the Pakistan Occupation Army during our glorious Liberation War against Pakistan in 1971. Of these four, one stands at Adityopur of Balaganj UP and is named ADITYOPUR GONOKOBOR where 72 men , all Hindus, were killed at a single event of brushfire, the second one is at Burungabazaar UP, named BURUNGA GONOKOBOR where 78 men, all Hindus, were such killed in line, the third is at Bhatpara Galimpur of Purbo Poilanpur UP, named to be GALIMPUR GONOKOBOR. 33 men, all Hindus except one Muslim, were killed and engraved there and the fourth one is at Surikuna of Sadipur UP and is named SURIKUNA  GONOKOBOR where some more than 30 men, all Hindus, were brutally brush-fired to death and engraved there regardless of religious norms. These Gonokobors are standing as signs of brutality and war-crimes committed by the Pakistan Occupation Army in collaboration with a few groups of some domestic traitor-  collaborators, being paid with hatred by the nation, reasonably named as RAJAKAR, AL-BODOR, AL-SHAMS etc. who committed and helped Pakistan army to commit War-crime. A little more to be mentioned that Bangladeshi citizens who are mostly Bangali by nation , have got a long history of being deprived of there rights of speech, economy, wages, services of the state and even language, the Mother-tongue as well. The Language-Movement is one of the historical evidences of mass protest for protecting the right of language held in Dhaka, currently the capital of Bangladesh, on 21 February in 1952 against state-attack on the Language of our Bangali people that resulted huge blood-shed on the streets of Dhaka claiming un-valued lives of some Rofiq, Salam, Jobbar, Barkat and many others. As a world recognition, the Day is internationally observed as International Language Day. Thereafter the movement intensified and urged an Autonomy of Bangladesh that, after long 19 years, turned the whole nation to be in compulsion to go for a Liberation War in 1971 under the supreme command and Great Leadership of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman , the Father of the Bangali Nation. Sheikh Mujib, being authorized by people’s mandate in the elections held under West Pakistan authority in 1970, came out to declare the Independence of Bangladesh and was immediately arrested by Pakistan Army  on the historical 26 March, 1971 that followed an unprecedented outbreak of brutal mass killings of unprepared un-armed common people of Bangladesh by Pakistan forces on 25 March at night. After long nine months of ‘Guerilla-Fighting’, Bangladesh won the War on 16 December,1971 and emerged as a new Independent Country. People of Bangladesh placed their beloved great leader Bangabandhu at a point of respect and honour and he then became a LEGEND of the world. The emergence of independent Bangladesh had cost a lot and left back some 30 lac Martyrs and 2 lac women forced to have lost their modesty by Pakistan Army. These Gonokobors are the memorials of that massive criminal-killings by Pakistani soldiers in collaboration with our domestic traitors.